পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বায়মপুর বদিকোনা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে হাফিজ ইসলাম উদ্দিনের পরিবারের সাথে একই গ্রামের মৃত আছদ রাজার ছেলে আলা উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের বাড়ির পাশের মৌজায় অবস্থিত প্রায় ৬৬ শতক ফসলি জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে আলা উদ্দিন, তার ভাই ফারুক আহমদ ও মাসুক আহমদ গংরা বিরোধপূর্ণ ১৬ শতক জমিতে ধানের চারা রোপন করতে যান। খবর পেয়ে হাফিজ ইসলাম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রোপনকৃত জমি দখল করতে গেলে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় আলা উদ্দিন পক্ষের ফারুক আহমদ (৩৮), মাসুক আহমদ (৩৫) ও আলা উদ্দিন (৪৮) এবং হাফিজ ইসলাম উদ্দিন পক্ষের হাফিজ ইসলাম উদ্দিন (৪৫), তার ভাতিজা সেলিম আহমদকে (৩৪) প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওসমানী হাসপাতালে মারা যান ফারুক আহমদ।
আহত হাসান আহমদ, শামীম আহমদ ও ফয়জুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাফিজ ইসলাম উদ্দন ও আলা উদ্দিনের পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু ফসলি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সংঘর্ষে আহত ফারুক আহমদ ওসমানী হাসপাতালে মারা গেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে।